ভূমিকা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি Shramashree (শ্রমশ্রী) প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো—অন্য রাজ্যে কর্মরত ও নির্যাতনের কারণে ফিরে আসা বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসন। প্রকল্পটি চালুর ফলে হাজার হাজার শ্রমিক এবং তাদের পরিবার উপকৃত হবেন।
Shramashree প্রকল্প কী ?
Shramashree হল একটি সামাজিক সুরক্ষা ও পুনর্বাসনমূলক কর্মসূচি। অন্য রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকরা যাতে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কাজ শুরু করতে পারে, আর্থিক সহায়তা পায় ও সামাজিক সুরক্ষা পায়—সেই লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
Shramashree প্রকল্পের সুবিধাসমূহ
👉 এককালীন আর্থিক সহায়তা – প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে ₹৫,০০০ ভ্রমণ সহায়তা।
👉 মাসিক ভাতা – এক বছর বা নতুন কাজ পাওয়া পর্যন্ত মাসে ₹৫,০০০ করে আর্থিক সহায়তা।
👉 খাদ্য সুরক্ষা – Khadya Sathi প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে রেশন সুবিধা।
👉 স্বাস্থ্য সুরক্ষা – Swasthya Sathi কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা।
👉 কর্মসংস্থান – Utkarsha Bangla এবং Karmashree প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও কাজের সুযোগ।
👉 শিক্ষা সহায়তা – শ্রমিকদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি ও শিক্ষার নিশ্চয়তা।
👉 কমিউনিটি কিচেন – অস্থায়ীভাবে যেসব পরিবার আশ্রয়হীন, তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা।
আবেদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া
শ্রমিকরা স্থানীয় Amader Para Amader Samadhan শিবির অথবা Migrant Workers’ Welfare Board এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। শ্রম দপ্তর সরাসরি প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজ্যের মুখ্য সচিব পুরো কার্যক্রমের তদারকি করবেন।

AI Genarated Image
কেন Shramashree গুরুত্বপূর্ণ ?
✔️ পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর শ্রমিক প্রতিবছর অন্যান্য রাজ্যে কাজের জন্য যায়।
✔️ ভাষাগত ও সামাজিক বৈষম্যের কারণে অনেককেই ফিরে আসতে হয়।
✔️ ফিরেও এদের জন্য চাকরি, আর্থিক সহায়তা বা সুরক্ষার সুযোগ কম থাকে।
✔️ এই প্রকল্প শ্রমিকদের অর্থনৈতিক স্থিতি, সামাজিক সুরক্ষা ও সম্মানজনক জীবনযাপন নিশ্চিত করবে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব
এই প্রকল্পকে অনেকেই মানবিক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে বলছেন এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ—এটি ভোটকে সামনে রেখে চালু করা হয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো, ইতিমধ্যেই হাজার হাজার পরিবার এই সুবিধার জন্য নাম নথিভুক্ত করছে।
উপসংহার
Shramashree প্রকল্প শুধু একটি আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি নয়, বরং এটি একটি মানবিক উদ্যোগ। পরিযায়ী শ্রমিকরা নতুন করে জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারবে। এই প্রকল্প রাজ্যের শ্রমিক সমাজে নতুন আস্থা ও স্থিতি এনে দেবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply